জয়পুরহাট সম্পর্কে - JOYPURHAT EXPRESS - joypurhatbd.com

জয়পুরহাট সম্পর্কে

জয়পুরহাট জেলা – অবস্থান ও আয়তন

জয়পুরহাট জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল ।
জয়পুরহাট জেলার উত্তরে রয়েছে গাইবান্ধা জেলা, দিনাজপুর জেলা এবং ভারত সীমান্ত, দক্ষিণে রয়েছে বগুড়া জেলা ও নওগাঁ জেলা, পূর্বে বগুড়া জেলা ও গাইবান্ধা জেলা, এবং পশ্চিমে নওগাঁ জেলা ও ভারত সীমান্ত। জেলাটির মোট এলাকার পরিমাণ ৯৬৫.৪৪ বর্গ কিলোমিটার।

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ

জয়পুরহাট জেলা ৫টি উপজেলায় বিভক্ত। এগুলি হলঃ
উপজেলাআয়তন (কিঃমিঃ²)জনসংখ্যা
জয়পুরহাট সদর উপজেলা২৩৮.৫২,৫৬,৬৯১
আক্কেলপুর উপজেলা১৩৯.৪৭১,২৮,৯৫২
কালাই উপজেলা১৬৬.৩০১,২৯,৩২৯
ক্ষেতলাল উপজেলা১৪২.৬০১,১৫,৮৭১
পাঁচবিবি উপজেলা২৭৮.৫৩২,৪০,৯৭৯
এছাড়া এখানে ৫টি পৌরসভা, ৩২টি ইউনিয়ন, ৯৮৮টি গ্রাম, ও ৭৬২টি মৌজা রয়েছে।
মোট লোকসংখ্যাঃ ৯,৫০,৪৪১ জন। (৪,৭৭,৭২৩ জন পুরুষ, ৪,৭২,৭১৮ জন  মহিলা) (২০১১ শুমারী অনুযায়ী)

দর্শনীয় স্থান

  • পাগলা দেওয়ান বধ্যভূমি, জয়পুরহাট সদর
  • পাথরঘাটা মাজারঃ পাঁচবিবি উপজেলা
  • লকমা জমিদার বাড়িঃ পাঁচবিবি উপজেলা
  • ভীমের পান্টি, মঙ্গলবাড়ি, জয়পুরহাট সদর
  • দিওর-হরিপুর ঘাট ও ব্রীজ, জয়পুরহাট সদর
  • নন্দাইল দীঘি, কালাই উপজেলা।
  • শিশু উদ্যান,জয়পুরহাট সদর।
  • বাস্তবপুরী, জয়পুরহাট সদর
  • হিন্দা-কসবা শাহী জামে মসজিদ, ক্ষেতলাল উপজেলা
  • আছরাঙ্গা দীঘী, ক্ষেতলাল উপজেলা।
  • গোপীনাথপুর মন্দির, আক্কেলপুর উপজেলা
  • বার শিবালয় মন্দির, জয়পুরহাট সদর উপজেলা
  • পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার, (জয়পুরহাট হইতে ১১ কিলো)।
  • নিমাই পীরের মাজারঃ পাঁচবিবি উপজেলা

ইতিহাস

স্বাধীন বাংলায় বৃটিশ শাসনামলে ১৮২১ সালে বৃহত্তর রাজশাহী জেলার চারটি, রংপুর জেলার ২টি ও দিনাজপুর জেলার ৩টি থানা নিয়ে যে বগুড়া জেলা গঠিত হয়েছিল তারই অংশ নিয়ে ১৯৭১ সালে প্রথমে জয়পুরহাট মহকুমা এবং পরবর্তীকালে ১৯৮৪ সালে জয়পুরহাট জেলা গঠিত হয়।
ষোড়শ এবং সপ্তদশ শতাব্দী পর্যন্ত জয়পুরহাটের ইতিহাস অস্পষ্ট; কারণ এই সময়ে ভারতবর্ষের ইতিহাসে জয়পুরহাটের কোন স্বতন্ত্র ভৌগোলিক অবস্থান ছিল না। জয়পুরহাট দীর্ঘকাল গৌড়ের পাল এবং সেন রাজাদের রাজ্য ভূক্ত ছিল। সে সময় জয়পুরহাট নামে কোন স্থান পাওয়া যায় না । এমনকি জয়পুরহাটের পূর্ব অবস্থান বগুড়ারও কোন ভৌগোলিক অস্তিত্ব ছিল না। পূর্বে চাকলা ঘোড়াঘাট এবং পরবর্তীতে দিনাজপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল জয়পুরহাট।
বর্তমানে জয়পুরহাট এবং পাঁচবিবি উপজেলার গ্রামসমূহ নিয়ে একসময় লালবাজার থানা গঠিত হয়েছিল। জয়পুরহাট সদর থানার পশ্চিম প্রান্তে যমুনা নদীর পুর্ব তীরে পুরানাপৈল এলাকায় এই থানা অবস্থিত ছিল। স্থানটি বর্তমানে করিমনগর বলে পরিচিত। করিমনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিকট যুমনা নদীর ঘাটকে আজও থানার ঘাট বলা হয়। এর দক্ষিনে যে স্থানে বাজার ছিল তাকে বর্তমানে বাজারের ভিটা বলা হয়। এই লাল বাজারে সেই সময়ে পোস্ট অফিস স্থাপিত হয়েছিল। সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস ছিল আক্কেলপুর রেলষ্টেশনের পূর্ব দিকে নবাবগঞ্জ নামক স্থানে। লাল বাজার থানার এবং খঞ্জনপুর কুঠির ভারপ্রাপ্ত ইংরেজ কর্মকর্তার তত্ত্বাবধায়নে পলিবাড়ি ,খঞ্জনপুর,পুরানাপৈল,পাচবিবি প্রভৃতি স্থানে নীল কুঠি স্থাপিত হয়েছিল। তৎকালে লালবাজার ছিল শহর এবং সাধারন মানুষের জীবিকার একমাত্র কর্মস্থল। দেশে তখনো রেল লাইন স্থাপিত হয়নি । মালামাল আমদানী ,রপ্তানী এবং একস্থান হতে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত করার জন্য নদীপথ ব্যতীত অন্য উপায় ছিল না। যমুনা নদী ছিল ভীষন খরস্রোতা। লাল বাজার থানা ঘাটে মহাজন ও সওদাগরী নৌকা ভিড়ত। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র উঠানামা করত। এ নদী পথেই দূর দূরান্ত যাতায়াত ও ব্যবসা বাণিজ্য চলত। সে সময় লাল বাজার ,ক্ষেতলাল এবং বদলগাছী থানা দিনাজপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। দিনাজপুর ,রংপুর ও রাজশাহী জেলার আয়তন এত বৃহৎ ছিল যে একজন প্রশাসকের পক্ষে সমগ্র জেলা নজর রাখা সম্ভব হত না। তাই ১৮২১ সালে ভারতের ততকালীন বড়লাট বাহাদুর রাজশাহী , রংপুর এবং দিনাজপুর হতে কয়েকটি থানা নিয়ে বগুড়া জেলা গঠন করেন। এ সময় রাজশাহী হতে শেরপুর,বগুড়া এবং আদমদিঘী থানা, রংপুর হতে দেওয়ানগঞ্জ ও গোবিন্দগঞ্জ থানা এবং দিনাজপুর হতে ক্ষেতলাল,বদলগাছী ও লাল বাজার থানা বিচ্ছিন্ন করে বগুড়া জেলার সৃষ্টি হয়েছিল। ব্যান্ডেল সাহেব ছিলেন বগুড়ার প্রথম ম্যাজিস্ট্রেট।
১৮৫৭ সাল থেকে ১৮৭৭ সাল পর্যন্ত দেশে ভীষণ দূর্ভিক্ষ দেখা দেয়। এসময় দেশে রেল লাইন বসানোর কাজ শুরু হয়। ১৮৮৪ সালে কলকাতা হতে জলপাইগুডী পর্যন্ত ২৯৬ মেইল রেলপথ বসানো কাজ শেষ হলে লোকজনের উঠানামা ও মালামাল আমদানী রপ্তানির সুবিধার জন্য ৪-৭ মাইল পর পর রেলস্টেশন স্থাপন করা হয়। সান্তাহারের পরে তিলেকপুর ,আক্কেলপুর,জামালগঞ্জ এবং বাঘবাড়ীতে স্টেশন স্থাপিত হয়। সেসময় বাঘবাড়ী রেলস্টেশন কে জয়পুর গভর্ণমেন্ট ক্রাউনের নাম অনুসারে রাখা হয় জয়পুরহাট রেলস্টেশন। পরবর্তীতে রেলস্টেশনের সাথে পোস্ট অফিসের নাম জয়পুরহাট রাখার ফলে নামটি প্রসিদ্ধি পেতে থাকে। কিন্তু সরকারী কাগজপত্রে এর আসল নাম গোপেন্দ্রগঞ্জ বহাল থাকে। অন্য দিকে, প্রাকৃতিক দূর্যোগেরও বিপর্যয়ের ফলে যমুনার নব্যতা কমে যায় এবং ভাঙ্গনের ফলে লাল বাজার থানা হুমকির মুখে পরে। ফলে ভারত সরকারের নির্দেশে ১৮৬৮ সালে ১৬ মার্চ তারিখে লালবাজার পুলিশ থানা যমুনার অন্য তীরে খাসবাগুড়ী নামক গ্রামে স্থানান্তরিত করা হয়। সেই সময় স্থানটির নাম ছিল পাঁচবিবি। পরবর্তী কালে দমদমায় রেলস্টেশন স্থাপিত হলে পুলিশ থানা দমদমায় স্থানান্তরিত হয়। তৎকালে পাঁচবিবি নাম প্রসিদ্ধী লাভ করেছিল। তাই দমদমা রেলস্টেশন ও থানার নাম পূর্বের নাম অনুসারে পাঁচবিবি রেলস্টেশন রাখা হয়। দেশে রেল লাইন বসানোর পূর্বে জলপথে নৌকা এবং স্থলপথে ঘোড়া বা ঘোড়ার গাড়ি ছিল যাতায়াতে একমাত্র অবলম্বন । শ্বাপদ সংকুল জলপথে নৌকায় চরে যাতায়াত নিরাপদ ছিল না।আর এতে অধিক সময় ও অর্থ ব্যয় হয়। তাই রেল লাইন বসানোর পরে নদীপথে যাতায়াত বহুলাংশে কমে যায়। জয়পুরহাট রেলস্টেশন হওয়াতে ব্যবসার ও যাতায়াতের সুবিধার কথা চিন্তা করে বিত্তশালী ব্যাক্তিরা রেলস্টেশনের আশে বাসে বসতি গড়ে তোলেন। এতে খনজনপুর ও লাল বাজার হাট বিলুপ্ত হয়ে যায় । এবং বাঘাবাড়ী অর্থাৎ জয়পুরহাট প্রসিদ্ধ হতে থাকে। পরবর্তীতে বাঘাবাড়ী কে লিখিত হিসেবে গোপেন্দ্রগঞ্জ লিখা হতে থাকে। ১৯০৭ সালে বাঘাবাড়ী তে একটি পৃথক থানা ঘঠিত হয়, এবং জয়পুরহাট নামটি ব্যাপক ভাবে প্রচলিত হওয়ায় তা জয়পুরহাট থানা নামে পরিচিতি পায়। ১৯১৮ সালে জয়পুরহাট থানা ভবন নির্মিত হলে পাঁচবিবি থানাকে জয়পুরহাট থানার উত্তর সীমা রুপে নির্দিষ্ট করা হয়। ১৯২০ সালে ভূমি জরিপে জয়পুরহাট থানার একটি পৃথক নকশা অঙ্কিত হয়। জয়পুরের প্রাচীন রাজধানী অমবর/জয়পুর হতে পাচ মাইল দূরে অমবরের অধিষ্ঠাদেবী শীতলাদেবী । এই দেবী যশোহরের বারো ভুঁইয়ার অন্যতম। চাদারায় ও কেদারা রায়ের রাজধানী শ্রীপুর নগরীতে প্রতিষ্ঠিত হয়। মানসিংহ কর্তৃক চাদারায় পরাজিত হলে তিনি এই অষ্টভুজাদ দেবীমুর্তি আনয়ন করে স্থাপন করেন। এই সব কারনে জয়পুর বংগবাসীর নিকট প্রিয় হতে থাকে। বিশেষ করে জয়পুর ও মাড়োয়া রাজ্যের বহু লোক জয়পুরহাট এলাকাত স্থায়ী ভাবে বসবাস করায় জয়পুরের সাথে জয়পুরহাট এর গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এবং তাদের পূর্বের বাসস্থানের সংগে সংগতি রেখে খঞ্জনপুর নীল কুঠির এলাকা জয়পুর অভিহিত হতে থাকে। পরবর্তীতে রাজস্থানের জয়পুরের সংগে পার্থক্য বোঝাবার জন্য পোস্ট অফিস ও রেলস্টেশনের নাম রাখা হয়েছিল জয়পুরহাট রেলস্টেশন ও জয়পুরহাট পোস্ট অফিস। ১৯৭১ সালে ১লা জানুয়ারী তারিখে জয়পুরহাট মহকুমার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালে জয়পুরহাট কে জেলা ঘোষনা করা হয়।

শিক্ষা ব্যবস্থা

The second girls’ cadet college of Bangladesh is situated in Joypurhat named Joypurhat Girls Cadet College , established in 2005. R.B. Govt. High School is a reputed high school in Joypurhat. Joypurhat Govt. Girls’ High School is also a reputed high school.
জয়পুরহাট জেলার শিক্ষার হার ৬৪%।
কলেজ ৪০ টি। (সরকারি-৩, গার্লস ক্যাডেট কলেজ-১, বেসরকারী-৩৬)
মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৫৩ টি। (সরকারি-৪, বেসরকারী-১৪৯)
প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩৭৫ টি। (সরকারি-৩৭১, বেসরকারী-৪)
কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৩ টি। (বেসরকারী)
টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ ০১ টি ।(সরকারী)
মাদ্রাসা ১১২ টি।(কামিল-৫,ফাজিল-১0,আলিম-১৪,দাখিল-৮৩)
পিটিআইঃ ০১টি।
শিশু কল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয়  ০১ টি।
এতিমখানাঃ ২৭ টি। (সরকারী-১, ক্যাপিটেশন গ্রান্টপ্রাপ্ত বেসরকারী-২৬ টি)
মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২৬৫ টি।
সরকারী গণগ্রন্থাগার ০১ টি (সরকারী)।
প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে ঝরে পড়ার হারঃ  ০%

ধর্ম

অধিকাংশ মানুষ ইসলাম ধর্মালম্বী। সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলমান হলেও এখানে হিন্দু, বৌদ্ধ ধর্মালম্বী সহ কিছু আদিবাসী জনবসতি রয়েছে । এদের ভিতরে সাওতাল,ওরাও, মুনডা, মোহালি , বুনা, কোচ,হো, রাজবংশী, পাহান ইত্যাদি জনগোষ্টীর সংখ্যা প্রায় ২.২৫% । মোট ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৪৭,০০০ প্রায় (তথ্য সূত্র : পাঁচবিবি আদিবাসী সংস্থা, জয়পুরহাট)।
জেলায় মোট মসজিদের সংখ্যাঃ২০১৩ টি
জেলায় মোট হিন্দু মন্দিরের সংখ্যাঃ৪৫
জেলায় মোট গীর্জার সংখ্যাঃ ২
জেলায় মোট ১৮৬ টি মসজিদ কেন্দ্রীক পাঠাগার, ৬৭৫জন প্রশিক্ষিত ইমাম, ২২০০ ইমাম রয়েছে।

নদী

নদীর সংখ্যাঃ ০৫ টি
(ক) ছোট যমুনা: জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি উপজেলা
(খ) তুলসী গঙ্গা: জয়পুরহাট সদর, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলা
(গ) চিরি নদী: জয়পুরহাট সদর উপজেলা ( চকবরকত ইউপি)
(ঘ) চিড়ি নদী: পাঁচবিবি ,জয়পুরহাট সদর ও আক্কেলপুর  উপজেলা
(ঙ) হারাবতি নদী:- পাঁচবিবি ও ক্ষেতলাল উপজেলা

যোগাযোগ

ঢাকার কল্যানপুর/গাবতলী হইতে এস-আর ট্রাভেলস, হানিফ, শ্যামলী সহ বেশ কিছু বাস জয়পুরহাটে যাতায়াত করে থাকে যার ভাড়া নন এসিঃ ৪০০-৪৫০ এবং এসিঃ ৬০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত ।
সড়ক যোগাযোগ
পাকা রাস্তা -৩৪২.৫৯ কিঃ মিঃ আধা পাকা রাস্তা- ৬১.৯৫ কিঃ মিঃ কাচা রাস্তা -১৫৯৬ কিঃ মিঃ ।
রেল যোগাযোগ
মোট রেলপথ- ৩৮.৮৬ কিঃ মিঃ মোট রেল স্টেশনের সংখ্যা- ০৮ টি। ( জয়পুরহাট সদর, পাঁচবিবি, জামালগঞ্জ,  আক্কেলপুর, জাফরপুর, তিলকপুর, পুরানাপৈল ও বাগজানা)
ডাকঘরঃ
ডাকঘরঃ ৭৭ টি (০১ টি প্রধান ডাকঘর, ০৪ টি উপজেলা ডাকঘর, ০২ টি সাব ডাকঘর ও ৭০ টি শাখা (ইডি) ডাকঘর

অর্থনীতি

জয়পুরহাট জেলার অর্থনীতি সম্পন্ন রুপে কৃষি নির্ভর। জয়পুরহাট উত্তরাঞ্চলের শস্যভান্ডার খ্যাত। এখানকার মৃৎ শিল্পের কাজ এখন বিলুপ্তির পথে।

প্রধান শস্য

ধান, আলু, ইক্ষু এবং কলা।

রপ্তানী পণ্য

আলু, ধান, কাচা সবজি ও চিনি

খনিজ সম্পদ

চুনাপাথর
জয়পুরহাটের জামালগঞ্জ এলাকায় ভূপৃষ্ঠ হতে ৫১৮মিঃ নীচে প্রায় ৩৮৪ বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে চুনাপাথর এর খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। ধারনা করা হয় খনিটিতে মোট ১২০০মিলিয়ন টন চুনাপাথর মজুদ আছে।
কয়লা
জয়পুরহাটের জামালগঞ্জের পাহাড়পুড় এলাকায় ভূপৃষ্ঠ হতে ৬৪০মিটার গভীরে বিপুল পরিমাণ পার্মিয়ান যুগের বিটুমিনাস কয়লা পাওয়া গেছে। এই কয়লার খনিতে মোট ৬টি স্তর আছে যার মোট পুরুত্ব ৬৪ মিটার। গবেষনায় দেখা গেছে এখানে প্রায় ১০৫৩।৯০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদ আছে ।
Joypurhat is called the store-house of food of Bangladesh. Joypurhat is famous and top in Bangladesh for production of all the agricultural products. Joypurhat’s economy is mainly based on seasonal crops like rice, potato, wheat, onion, mango, jackfruit, and banana. It also produces a huge amount of sugarcane and it holds the country’s largest sugar mill, Joypurhat Sugar Mill’s Limited. There are also a lot of industries, rice mills and poultry farm sin this district. It exports many agricultural products. Hili land port is very close to Joypurhat district, so many people of this district do export-import business by this port and about all the vehicles of this port run over this district. This district is appropriate for all kind of business.

বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব

  • আব্বাস আলী খান – বিতর্কিত রাজনীতিবিদ, মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দালাল আইনে যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত
  • মরহুম গোলাম রাব্বানী ( সাবেক সংসদ সদস্য জয়পুরহাট 1)
  • খুরশীদ আলম (কণ্ঠশিল্পি)
  • মনতাজুর রহমান আকবর (চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার)
  • দিলরুবা খানম (কন্ঠ শিল্পী)
  • ফাতেমাতুজ জহুরা (কন্ঠ শিল্পী)
  • কবি আতাউর রহমান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন