জয়পুরহাট জেলার নামকরণ - JOYPURHAT EXPRESS - joypurhatbd.com

রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৯

জয়পুরহাট জেলার নামকরণ

রাজশাহী বিভাগের অধীন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত ছোট্ট জেলা জয়পুরহাট। এর আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অনেক নান্দনিক ও ঐতিহাসিক স্থান। জেলার দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ ফসলের মাঠ যেকোনও ভ্রমণপিপাসুকে মুগ্ধ করবে। ফলে এখানে পর্যটন শিল্প বিকাশে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। লতিরাজ কচু ও সোনালি মুরগি জয়পুরহাটকে অন্নপূর্ণা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।


ভারতবর্ষের ইতিহাস থেকে জানা যায়, গৌড়ের পাল ও সেন রাজার রাজত্ব ছিল জয়পুরহাটে। ধর্মপালের পর তার দ্বিতীয় ভ্রাতৃদ্বয় দেবপাল রাজা হয়। দেবপালের পর তার পালরাজ সাম্রাজ্যের রাজা হয় জয়পাল। এই জয়পাল রাজার নামেই জয়পুরহাট জেলার নামকরণ হয় ১৮০০ সালে। এর আগে স্থানীয় নাম ছিল বাঘাবাড়ি, পরবর্তী সময়ে কাগজপত্রে গোপেন্দ্রগঞ্জ লেখা হতে থাকে।

১৮৫৭ থেকে ১৮৭৭ সাল পর্যন্ত দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে তা মোকাবিলার জন্য ১৮৮৪ সালে জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতা পর্যন্ত ২৯৬ মাইল রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ হয়। মালা
মাল রফতানির জন্য ৪ থেকে ৭ মাইল পর পর ছিল স্টেশন। জয়পুর গভর্নমেন্ট ক্রাউন স্টেটের নামানুসারে পরবর্তী সময়ে রেলস্টেশনটির নাম রাখা হয় জয়পুরহাট। রেলস্টেশন ও পোস্ট অফিসের নাম রাখা হয় জয়পুরহাট। এরপর থেকে এলাকাটি ‘জয়পুরহাট’ নামে পরিচিত হতে থাকে। রাজস্থানের জয়পুরের সঙ্গে পার্থক্য বোঝানোর জন্যই মূলত জয়পুরের সঙ্গে হাট যুক্ত করে ‘জয়পুরহাট’ স্টেশন নাম রাখা হয়। স্টেশনের পাশেই বসতো মূল বাজার। এই বাজারকে বলা হতো যমুনার হাট। সেজন্য হাট শব্দটি যুক্ত করা হয়। ১৯৮৪ সালে মহকুমা থেকে জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে জয়পুরহাট।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন